বুধবার - ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না: প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ শুধু আমাদের নয়, এটি বিশ্ব ঐতিহ্য বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। সত্যকে কখনো মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না। আজকে সেটিই প্রমাণ হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণে সেই সময় মানুষকে যেভাবে উদ্বুদ্ধ করেছে। আজকে এই ভাষণ শুধু আমাদের না, আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃতি পেয়েছে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা হঠাৎ আসেনি। দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা এসেছে। এটি তিনি (বঙ্গবন্ধু) কাউকে বলেননি। জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তিনি কাজ করে গেছেন।

সরকারপ্রধান বলেন, ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু হয়। পর দিন ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানে বন্দি করে রাখা হলো। এর পরই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে ‘৬৯ সালের অক্টোবর মাসে আমার বাবা লন্ডনে গিয়েছিল। তিনি (বঙ্গবন্ধু) মুক্তি পাওয়ার পর পর আমি আমার স্বামীর সঙ্গে ইতালিতে চলে যাই। ইতালি থেকে আমার স্বামী আবার লন্ডনে চাকরি পেয়েছিল, সেখানে চলে যাই। সেখানে বসে তিনি তার যে পরিকল্পনা ছিল, নির্বাচন হবে, নির্বাচনের রেজাল্ট আসবে, ওরা ক্ষমতা দেবে না, আমাদের যুদ্ধ করতে হবে। যুদ্ধের প্রস্তুতিটা আমি একজন সাক্ষী হয়ে এখনো আছি, তিনি পরিকল্পনা করেন। ভারতের দুজন প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করেন। আমাদের গেরিলা যুদ্ধ হবে, সেখানে শরণার্থী গেলে কীভাবে আশ্রয় হবে, প্রবাসী বাঙালিরা কী কী কাজ করবে— সব পরিকল্পনা তিনি করে আসেন।

শেখ হাসিনা বলেন, মার্শাল ল’র মধ্যেও নির্বাচন দেওয়ার ওয়াদা করেছিলেন ইয়াহিয়া খান। ওয়াদার মধ্যেও কিছু শর্ত ছিল। আমাদের দেশের অনেক রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক ব্যক্তি এ নির্বাচনে বিরোধিতা করেছিল। সেই শর্ত মেনেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার (বঙ্গবন্ধু) কথা ছিল, কে এ দেশের নেতৃত্ব দেবে এটি আগে জনগণ ঠিক করুক।

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজহার খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email